এবার রিষড়ার বিধান চন্দ্র কলেজের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ গতকাল বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সুনীল সিং-এর হয়ে প্রচারে ইছাপুরে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি ৷ তিনি বলেন শুধু সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই সবকিছু বিচার করা যায় না ৷ তিনি সাফ বলেন সিসিটিভিতে অনেক কিছুই দেখা যায় কিন্তু তার সত্যতা কতটুকু ? সিসিটিভি ফুটেজ যে সব সময় সত্যি হবে এমন কোন কথা নেই ৷ তাছাড়া ওই সিসিটিভি ফুটেজ টি গত মাসের এতদিন পরে কেন সেটা সামনে এল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত রিষড়ার বিধান চন্দ্র কলেজের এক সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর রাজ্যে হইচই শুরু হয়ে যায় ৷ ফুটেজে দেখা যায় শাসক দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির জিএস শাহিদ হাসান খান কলেজেরই এক ছাত্রী তথা টিএমসিপিরই অপর মহিলা নেত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে সাফ সাফ দেখা যায় যে অভিযুক্ত শহীদ হাসান ওই ছাত্রীকে লাথি, ঘুষি মারে এমনকি কাচ উঠিয়ে পর্যন্ত মারতে যায় ৷ কলেজের ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই অন্যান্য ছাত্রদের সামনেই এই ঘটনা ঘটে ৷ সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে এই ঘটনাটি ঘটে গত মাসে ৪ তারিখে ৷
ঘটনার পর ওই ছাত্রীটি থানায় অভিযযোগ দায়ের করলেও অভিযুক্ত জিএস শাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ ৷ মূলত ছাত্র দলের নেতা বলেই কি পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি ? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা ৷
এদিন এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “কোনও অভিযুক্ত ছাড়া পাবে না। আমি এখনও ওই ফুটেজ দেখিনি। না দেখে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারব না।” হুগলী জেলা নেতৃত্বের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে এই বিষয়ে নিজের অভিমত জানাবেন বলে জানিয়েছেন পার্থ বাবু।
তবে সরাসরি যেভাবে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী তাতে বিরোধীরা বলতে শুরু করেছেন যে শিক্ষামন্ত্রী আসলে অভিযুক্ত ছাত্রকে বাঁচাতে চাইছেন ৷ তারা এটাও বলছেন যে এই ঘটনাই প্রমান করে যে রাজ্যে মহিলাদের কোন সুরক্ষা নেই ৷
আরো পড়ুন উপ-নির্বাচনে বিজেপির ভয়ে কাবু বাম থেকে তৃণমূল ৷
নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ