যেমন তিনি বলেন তেমনি তিনি কাজেও প্রমানদেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বছরের প্রথম টুইটের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সামরিক খাতে পাকিস্তানকে যে,২৫ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার সাহায্য দেওয়ার কথা ছিল আপাতত তা বন্ধ করার কথা ঘোষনা করল হোয়াইট হাউস। সন্ত্রাস দমনের নামে প্রতারণা নিয়ে কাল সুর চড়িয়েছিলেন টাম্প।তার পরই মার্কিন প্রশাসন সাফ জানিয়েদিল,এর পর থেকে দেশের মাটিতে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রয়নে ইসলামাবাদ কতটা সক্রিয় তা দেখে এধরনের সাহায্যের কথা ভাবা হবেI এখবর প্রকাশ্যে আশার পর পাক প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খোকন আব্বাসি বৈঠকে বসবেন।সূত্রের খবর এখানে আলোচ্য বিষয় হবে ট্রাম্পের মন্তব্যকে বিশ্লেষণ করা । তবে পাকিস্তান কোন পথে এগোবে সেটাই দেখার বিষয়।
এখানেই শেষ নয় ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে গতকাল রাতেই ইসলামাবাদে মার্কিন দূত ডেভিড হ্যালকে তলব করে পাক বিদেশমন্ত্রক। বিদেশ সচীব তেহমিনা জানজুয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হ্যালের কাছে। যদিও পাক বিদেশমন্ত্রক এব্যাপারে কিছুই জানায়নি I গতকাল ট্রাম্প বলেছিলেন ১৫ বছর ধরে পাকিস্তান আমাদের কাছ থেকে ৩৩০০ কোটি ডলার নিয়েছে বিনিময়ে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা কথা বলেছে। এছাড়া ২০১৬ এর আর্থিক বছরে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের জন্য। বিনিময়ে সন্ত্রাসবাদ দমন করা তো দুরের কথা,জঙ্গীবাদীতে পাকিস্তান ভরেগেছে। যদি পাকিস্তান পুরোপুরি সন্ত্রাসবাদ দমন না করে পাকিস্থানকে কোন প্রকার সাহায্য দেওয়া হবেনা। এই ভাবে পাকিস্থানকে সরাসরি হুমকি দিলেন ট্রাম্প । এছাড়াও তিনি বলেন কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে একঘরে করে রাখবো,এখানে চীনও কিছু করতে পারবেনা।
আপাতত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ট্রাম্প । এই খবর প্রকাশ্যে আশার পর চীন কোন কথা না বললেও,পাকিস্তান বেশ উদ্বিগ্ন। তবে মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে চীন-পাকিস্তান যে এবার আরো কাছাকাছি আসতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য I বলে রাখা ভালো উপমহাদেশে চিনই আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আর তাই এই প্রতিদ্বন্দীকে পরাস্ত করতে ভারতই মার্কিন প্রশাসনের অন্যতম হাতিয়ার I তাই ভারতের সাথে দিন দিন আমেরিকার বন্ধুত্ব বেড়েই চলেছে আর এতেই উদ্বিগ্ন চীন-পাকিস্তান I