উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাতী অনুষ্ঠান গৃহে বিজেপির এক রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অসমে ” বাঙালী হঠাও ” প্রসঙ্গে বসিরহাটের প্রাক্তন বিজেপির বিধায়ক শমীক বাবু বলেন ” তৃনমূল বিপজ্জনক বিভাজনের খেলায় নেমেছে”। তিনি আরো বলেন মমতা দেবী বাঙালীদের বিষয়ে বললেও আদতে তৃনমূল বিভাজনের রাজনীতি করছে। অসমে প্রচুর অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। নাগরিকত্ব আইনে যে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে তা সংশোধনের জন্য দেশ রক্ষার নামে ভন্ডামীদের চাপে স্টান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। রিফিওজিদের নাগরিকত্ব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে তাতে পরিস্কার বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর অবধি বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশ থেকে কোন সংখ্যালঘু ভারতে এলে তাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
তিনি এখানেই থেমে থাকেননি তিনি বলেন তৃনমূল খুবই নগ্ন রাজনীতির খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে। দিন কয়েক আগে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু বাবু বলেন বিজেপি তৃনমূলের জঞ্জাল কুড়াচ্ছে। এর উত্তরে শমীক বাবু বলেন কয়েকদিন পর উনি কোথায় যাবেন উনারই ঠিক নেই। মঞ্জু বসু প্রসঙ্গে তিনি বলেন মঞ্জু বসু বিজেপিতে আসতে চেয়ে বিজেপিকে ধাক্কা দেয়নি বরং তৃনমূলকেই ধাক্কা দিয়েছে । এতেই প্রমাণিত হয় ওদের দলে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না I
তবে এটা আগে থেকেই দেখা গেছে তৃনমূলের বিরুদ্ধে যেই কথা বলুক না কেন তাকে দল ত্যাগ করতে হয়েছে-সৌমেন- শিখা মিত্র সহ এমন কি মুকুল রায়কেও এরকম বহু প্রমান আছে। সেই তালিকাতে এবার যুক্ত হল মঞ্জু বসু। তবে পরিশেষে শমীক বাবু হুঙ্কার ছেড়ে বলেন ” তৃণমূল যতই বিভাজনের রাজনীতি করুন না কেন তৃনমুলের জমানা শেষ ,পশ্চিম বঙ্গে শুরু হচ্ছে বিজেপির নতুন অধ্যায়”। আর ২০১৯শের লোকসভা ভোট দিয়েই শুরু হবে তৃণমূলের পতন এবং ২০২১শে তৃণমূলকে বাংলার জনতা বিসর্জন দিয়ে দেবে I