এমনিতেই মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃনমূলের অন্দরমহলে দ্বন্দ্বের শেষ নেই এবং তিনি যেখানেই সভা করছেন ভিড় উপচে পড়ছে এবং ছোট বড় মিলিয়ে বেশকিছু তৃনমূলের নেতাকে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন। এমত অবস্থায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে I তারপর বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দ্বায়িত্ব যার হাতে আছে সেই কৈলাস বাবু ও অমিত শাহরা নাকি গোপনে শুভেন্দু অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দিয়ে রেখেছেন যা নিয়ে তৃনমূল বেশ চাপে, তবে প্রকাশ্যে কোন দলই একথা স্বীকার করছেন না I
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখাযাচ্ছে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক প্রতিদিন বহুল পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে শঙ্কিত শাসকদল তৃণমূল । বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আগেই বলে রেখেছেন অন্য্ দল ভাঙিয়ে নেতা মন্ত্রীদের বিজেপিতে সামিল করতে, রাজ্য বিজেপিও সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে এবং অবশ্যই তাদের টার্গেট রয়েছে শুভেন্দু সহ বড় বড় প্রথম সারির তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের প্রতি I এদিকে মুকুল রায় আগেই বলে রেখেছেন আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ কিছু বিধায়ক ও সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেবে। এর উত্তরে তৃনমূলের মহাসচীব পার্থ বাবু বলেন বিজেপি এখন দল ভাঙানোর কাজে ব্যাস্ত ,এটা অসাংবিধানিক ও অরাজনৈতিক। তিনি আরো বলেন আমাদের কোন নেতাই বিজেপিতে যাবে না দু একটা ফুচকে নেতা যাদের কেউ চেনে না তারা কোথায় গেল না আসলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না I এর উত্তরে মুকুল বাবু বলেন ” এই দল ভাঙানোর কাজ তাদের দিদির কাছ থেকে শিখেছি” তিনি ব্যাঙ্গ করে আরো বলেন ” ভূতের মুখে রাম নাম”। তবে শুভেন্দু বাবু এ বিষয়ে বলেন এসব কথার কোন ভিত্তি নেই আমি তৃণমূলে আছি ও থাকবো I তবে শুভেন্দু বাবু স্বীকার না করলেও এটা শোনা যাচ্ছে যে তিনি নাকি গোপনে দিল্লিতে বিজেপি নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন I
শুভেন্দু এখন তৃনমূলের সবচেয়ে হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে একজন। তিনি বর্তমানে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ বাবু বলেন শুভেন্দু অধিকারীর কথায় দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ,মালদা ,দুই চব্বিশ পরগনা চলে। সবকিছু মিলেমিশে তিনি এখন এরাজ্যের সবচাইতে হেভিওয়েট নেতা তাই বিজেপি তুরুপের তাস হিসাবে শুভেন্দুকে কাছে টানতে চাইছে।
রাজনৈতিক মহলের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তৃনমূল নেতৃী মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিষেক বাবুকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে বসিয়ে চরম ভূল করেছেন। অভিষেক বাবুকে বড়োজোর ছাত্রপরিষদের সভাপতি দেওয়া যেতে পারতো তার বেশি কিছু নয়। এজন্যই বিরোধীরা তৃনমূল দলকে ” পিসি ভাইপোর ” দল বলে কটাক্ষ করেন । এই সব কারনে হয়তোবা শুভেন্দু বাবু দল ছাড়তেও পারেন। তবে রাজ্যে বিধান সভা ভোটের এখনো অনেক দেরি তাই সমস্ত নেতা মন্ত্রীরাই মেপে পা ফেলতে চাইছেন I