আর মাত্র দেড় বছর তারপরেই লোকসভা ভোট কিন্তু তার আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলো জোটসঙ্গী শিবসেনা ফলে বিজেপি হারাতে চলেছে তার সবচেয়ে পুরোনো বন্ধু ও জোটসঙ্গী শিবসেনাকে ৷ উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা তাদের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মিটে ঘোষণা করেছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোট তারা একাই লড়বে, অর্থাৎ বিজেপির হাত ছাড়ছে তারা ৷ দলীয় বৈঠকে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব আনেন দলীয় সাংসদ সঞ্জয় রাউত, তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গিয়েছে ৷ শিবসেনার তরফে জানানো হয় এতদিন শিবসেনাই চেষ্টা করে জোট টিকিয়ে রেখেছিল কিন্তু এখন আর এই জোট রাখা সম্ভব হচ্ছে না তাই আমরা এই সিদ্ধাসনত নিলাম৷
শিবসেনা ও বিজেপির জোট আজকের নয় ,সেই নব্বই এর দশক থেকে এই জোট হয়ে আসছে ৷ তখন শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরে , বিজেপির অটল বিহারি বাজপেয়ী , লালকৃষ্ণ আদবানি প্রমুখ ব্যক্তিগণ এই জোট তৈরি করেছিলেন ৷ মূলত বাল ঠাকরের মৃত্যুর আগে শিবসেনাই মহারাষ্ট্রে বড় দাদার ভূমিকা পালন করত অন্যদিকে বিজেপি সেখানে শিবসেনাকে সহযোগিতা করতো সবরকম ভাবে ৷ কিন্তু আজ শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল সাহেব ঠাকরের জন্মদিনেই সেই জোট ভেঙে গেল৷
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে নরেন্দ্রমোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে সেনা ও বিজেপির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না৷ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটেও এই দুই দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায় ফলে দুই দলই আলাদা আলাদা ভাবে লড়ে বিধানসভা ভোট ৷ বিধানসভা ভোটের ফলে দেখা যায় সেখানে বিজেপিই এককভাবে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠেএসেছে ৷ যদিও তখন শিবসেনা তাদের প্রার্থীকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বলেছিল কিন্তু বিজেপি তা মেনে না নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে মুখ্যমন্ত্রী করেন ৷ বৃহন্মুম্বই পুরনিগম ভোটেও দুই দল আলাদা আলাদা করে লড়ে।এমনকী জোট সঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারের বিরোধিতা করতে থাকে শিবসেনা ৷ নরেন্দ্রমোদীর জিএসটি এবং নোট বাতিলেরও তীব্র বিরোধিতা করেছিল সেনা ৷ এমনকি গুজরাট বিধানসভার ফল দেখে রাহুল গান্ধীর প্রশংসাও করা হয় শিবসেনার তরফে ৷
তবে লোকসভা ভোটের প্রায় দেড় বছর আগে শিবসেনা যেভাবে বহু পুরোনো জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলো তা বিজেপির কাছে একটা বড় ধাক্কা তা বলাই বাহুল্য ৷
আরো পড়ুন এবার সৎ বাবার যৌন লালসার স্বীকার নাবালিকা৷
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ I