সেকুয়া কাকাব-
সভ্যতা সংস্কৃতির ক্রম বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষেরা ভাব জগতের যে নৈতিক বিবর্তন উন্মোচিত হয় তা ক্রমে ক্রমে জনমানুষের শিক্ষা সংস্কৃতি সংস্কৃতি পরিবেশ রান্নাবান্না অর্থাৎ সামগ্রিক চেতনাকে প্রভাবিত করে। আর এই পরিবর্তনের অন্যতম দাবি রাখে মেয়েদের রান্না ঘরে বিভিন্ন রকমারি রান্নার স্বাদ। কথিত আছে “বুদ্ধি যার বল তার”-কিন্তু কিন্ত এই বুদ্ধি তখনই কাজে লাগে যখন পেটে খাবার থাকে শুধু মাত্র পেটে খেলে পিঠে সয় না-এক কথায় বলতে গেলে বলা হয় মানুষের বিবেক -বুদ্ধি- শক্তি -চিন্তার উন্মেষ ঘটে পেটে খাবার থাকলে। সেই খাবার দেশি হোক বা বিদেশি হোক তবে খাবারের স্বাদ যদি সুন্দর হয় তাহলে তো আর কথা নেই।যাই হোক আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একটি Ranna Banna অর্থাৎ খাবারের কথা উপস্থাপিত করব যা শুনলে আপনাদের জিভ দিয়ে লাল পড়তে থাকবে।
কি সেই খাবার যা শুনলে লালি উঠবে।আসুন জেনে নিই সেই খাবারের নাম- খাবার টির নাম হল- “সেকুয়া” এই খাবারটি নেপালের অত্যান্ত একটি জনপ্রিয় স্টিক কাবাব হিসেবেও পরিচিত তাই এই খাবার টি কে সেকুয়া কাবাব বলা হয় । Sekua Kabab হিসাবেই সমৃদ্ধ লাভ করেছে ।নেপালে এই খাবারটি কোন উৎসব বা অনুষ্ঠানে বহুল পরিমাণে থাকে। সেই জন্য এই খাবারটি নেপালি সমাজে জাতীয় খাবারের পরিচিত লাভ করেছে। এটা চিকেন ছাড়া মটন কিংবা বিফ দিয়ে খেতে দারুন লাগে । এবার আসুন এই খাবারটি তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগে বা কিভাবে তৈরি করা যায় তা জেনে নিই।
আরো পড়ুন –
সেকুয়া কাকাব তৈরির উপকরন:-
উপকরণ হিসাবে আমি যে জিনিসগুলি দেখাবো তা নিম্নে আলোচিত হল বা নিম্নরূপে।
১:- চিকেন থাই 1kg(যা হবে বোনলেস কিউব করা)
২:- গরম মসলা যার পরিমাণ হবে অত্যন্ত পক্ষে এক চামচ।
৩:- সাদা তেল যার পরিমাণ হবে কমপক্ষে এক চামচের মতো।
৪:- সঙ্গে নিতে হবে পরিমাণমতো গলানো মাখন।
৫:- কুচানো কাঁচালঙ্কা কম করে হলেও তিনটি।
৬:- পরিমাণমতো ধনেপাতার কুচি।
৭:- সঙ্গে নিতে হবে পরিমাণমতো লেমন চাস্ট।
৮:- হলুদ নিতে হবে আদি চামচ
৯:- আদা রসুন বাটা 2 চামচ।
১০:- সঙ্গে নিতে হবে টক দই যার পরিমাণ হবে 1 চামচ।
১১:- নুন নিতে হবে পরিমাণমতো।
১২:- আরো নিতে হবে পরিমাণমতো গোল মরিচের গুঁড়ো।
এবারে আসুন সব কিছু উপকরণ তো রেডি কিভাবে সেকুয়া কাবাব তৈরি করতে হয় তা জেনে নিন-
সেকুয়া কাবাব প্রস্তুত প্রণালী:-
বোনলেস কিউব করা চিকেনের থাই গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে আলাদা পাত্রে রেখুন। সমস্ত উপকরণ দিয়ে সুন্দর করে একসঙ্গে মেখে সারারাত ম্যারিনেশন করুন। এবারে তারপরের দিন সিকইউ আরে বেঁধে বা গেঁথে মাইক্রোতে গ্রীল করতে পারেন।অথবা তাতেও অল্প তেল দিয়ে পুরা মত করে উল্টে পাল্টে ভেজে নিতে পারেন। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে সেকুয়া কাবাব-আর সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে আপনার খাবারের টেবিলে।আর প্রান ভরে পরিবেশন করুন।যারা এতদিন ভেবে ছিলেন এই খাবারটি তৈরি করা বাড়িতে অসম্ভব তারা একবার এই সমস্ত উপকরণ জোগাড় করে বাড়িতে বসে খাবারটি তৈরি করতে পারেন।
আরো পড়ুন –