মধ্য যুগে সুলতান মামুদ ভারতের বিভিন্ন মন্দির লুঠ করে হিন্দুদের চিরাচরিত ঐতিহ্যের উপর আঘাত করতেন। ঠিক তেমনি এই আধুনিক যুগেও সুলতান মামুদদের অভাব নেইI এরা সব যুগেই ছিল এবং এখনো আছে I এর আগে আমরা দেখেছি দেবী প্রতিমা সহ প্যান্ডেল অগ্নিদগদ্ধ হতে, দেখেছি মালদা, বহরমপুর ,হাওড়া, কাটোয়া, বেথুয়াডহরীতে মন্দিরে গো মাংস রাখা এবং মন্দির লুঠপাত হতে। এর থেকে আরো বেশি ভয়াবহ ঘটনা ঘটল নদীয়া জেলার অন্তর্গত তেহট্ট থানার অধীন বড় নলদাহ গ্রামে।
উল্লেখ্য বড় নলদাহ কলোনী প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজার আয়োজন করে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তারা। প্যান্ডেলের সমস্ত কাজ কর্ম ছেড়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা রাত ১১ টা নাগাদ বাড়ী ফেরে। তারপর সকালে স্কুলে প্রবেশ করে ছাত্র সহ শিক্ষকরা দেখে মন্দিরে বাগদেবীর মূর্তি নেই। এই ঘটনার পর এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়।
স্কুলের শিক্ষক উৎপল মজুমদার বলেন ছেলে মেয়েরা মন্দিরের কাজ সেরে ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করে সকলে বাড়ী ফিরে সকালে এসে দেখে প্রতিমা নেই মন্দিরে। তিনি আরো বলেন কে বা কারা চুরি করেছে তা আমার জানা নেই। তবে গ্রামের বাসিন্দাদের দাবী পার্শবর্তী মুসলিম গ্রাম ছোট নলদাহ গ্রামের মানুষের কাজ। এর কারন হিসাবে তারা বলেন এর আগে ওই গ্রামের সাথে আমাদের সাম্প্রদায়িক কিছু সমস্যা বাঁধে সেই প্রতিশোধ নিতেই হয়তো তারা এই কাজ করেছে।
উল্লেখ্য গ্রামের বিশিস্ট ব্যাক্তি শুশান্ত সরকার মহাশয় বলেন পরিস্থিতি যখন উত্তাল হয়ে উঠতে থাকে তখন তেহট্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয় এর পর প্রশাসন এসে নতুন করে প্রতিমা এনে আজ অর্থাৎ ২৩ তারিখ ওই স্কুলে পূজা দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কাউকে এখনও অবধী গ্রেফতার করা হয়নি।
তবে প্রশ্ন এখানেই কেন এরাজ্যে বারবার হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতীরাI কেন দিনদিন রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে I স্থানীয় বিজেপি নেতারা এই ঘটনার জন্য তৃণমূল সরকারকে দায়ী করে বলেন তৃণমূলের আমলেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদিক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে এর জন্য তৃণমূলের তোষণ নীতিই দায়ীI