1.উপর থেকে পড়া একটি বস্তুর গতি ভূপৃষ্টের কাছাকাছি বেড়ে যায়।এর কারণ কি?
(A) বস্তুর ভরের কারণে
(B) বস্তুর উপর বলের কারণে
(C) অভিকর্ষজ ত্বরণের কারণে
(D) বস্তুর ভরবেগের কারণে
Ans-(B) বস্তুর উপর বলের কারণে (অভিকর্ষজ বল)
(মাথায় রাখবে উপর থেকে পড়া কোনো বস্তুর গতি ভূপৃষ্ঠের যত কাছে আসবে ওই বস্তুর গতি তত বৃদ্ধি পাবে। ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করলে Definitely ও শূন্য হয়ে যাবে,কিন্তু ভূপৃষ্ঠের একদম কাছে আসলে ঐ বস্তুর গতি সর্বাধিক হয়ে যাবে।
অর্থাৎ ভূমি স্পর্শ করার আগের মুহূর্তে উপর থেকে পড়া বস্তুর গতি সর্বাধিক হয় বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের কারণে বা পৃথিবীর আকর্ষণ বলের কারণে।
কোনো বস্তুকে অভিকর্ষ বলের টানের ফলে যে ত্বরণ তৈরি হয় তাকে বলা হয় অভিকর্ষজ ত্বরণ।তো তোমরা মাথায় রাখবে এই অভিকর্ষজ ত্বরণ হলো এই আকর্ষণ বলের ফলাফল)।
Ans-(C) পদার্থের ভর
(মনে রাখবে Inertia বা জাড্যের পরিমান হলো পদার্থের ভর।যে পদার্থের ভর যত বেশি থাকে তার Inertia তত বেশি হয়।আর একটা জিনিস তোমরা মনে রাখবে ভার কিন্তু এক ধরনের বল। ভার ও বলের একক same হয়)।
3.নিউটনের কোন গতিসূত্রকে “Galileo’s Law of Inertia”- বলা হয়?
(A) প্রথম গতিসূত্রকে
(B) দ্বিতীয় গতিসূত্রকে
(C) তৃতীয় গতিসূত্রকে
(D) উপরের সবকটিই
Ans-(A) প্রথম গতিসূত্রকে
(নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে বস্তুর জাড্য ধর্মের পরিচয় পাওয়া যায়।নিউটনের প্রথম গতিসূত্র বলে,- “কোনো স্থির বা কোনো গতিশীল বস্তুর উপর যদি বাইরে থেকে কোনো বল প্রয়োগ না করা হয় তাহলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে আর গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে একই দিকে চলতে থাকবে।এটাই হচ্ছে নিউটনের প্রথম গতিসূত্র।আর এর থেকে আমরা জাড্যের ধারণা বা Inertia এর ধারণা পাই। আবার Galileo’s Law of Inertia থেকেও আমরা জাড্য বা Inertia এর ধারণা পাই। এই জন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে বলা হয় “Galileo’s Law of Inertia”)।
4.একটি ভারী ক্রিকেট বল অপেক্ষা দ্রুতবেগের একটি হালকা টেনিস বলকে থামানো কঠিন হয়।এর কারণ কি?
(A) টেনিস বলের ভরবেগ কম
(B) ক্রিকেট বলের ভরবেগ বেশি
(C) টেনিস বলের ভরবেগ বেশি
(D) টেনিস বলের ভর কম
Ans-(C) টেনিস বলের ভরবেগ বেশি
(তোমরা মনে রাখবে যে বলটির ভরবেগ বেশি হবে সেটিকে থামানো কঠিন হবে। * আমরা ভরবেগ বলতে বুঝি, ভর × বেগ = ভরবেগ।
5.25kg ভরের একটি বস্তুর বেগ 125kg m/s হলে বস্তুটির গতিশক্তি কত?
(A) 125 J
(B) 625 J
(C) 312.5 J
(D) 325 J
Ans-(C) 312.5 J (জুল)
(ভরবেগ বলতে আমরা বুঝি–
ভরবেগ = ভর × বেগ
125 = 25 × x
x = 5 m/s
:- তাহলে এখানে বেগ হলো 5 m/s কিন্তু গতিশক্তি বের করতে বলা হয়েছে-
:- গতিশক্তির সূত্র হলো –
1/2 × M × v^2
1/2 × 25 × 5^2
1/2 × 25 × 25
625/2 = 312.5 m/s (J)
:- M মানে mass (ভর)
V মানে Velocity (বেগ)।
* তোমাদের আনসার হলো 312.5 m/s (J)।
6.নিচের কোনটির ভরবেগ বেশি?
(A) দাঁড়িয়ে থাকা 1 টন ওজনের গাড়ি
(B) 200 m/s পরিমাণ 20 গ্রামের একটি বুলেট
(C) ঘন্টায় 40 কিমি বেগে ধাবমান 400kg একটি হাতি
(D) ভরবেগ পরিমাপ সম্ভব নয়
Ans-(C) ঘন্টায় 40 কিমি বেগে ধাবমান 400kg এর একটি হাতি
(প্রথম Option -এ ওজন যাইহোক না কেনো বেগ কিন্তু শূন্য।বেগ শূন্য হলে সবকিছুই শূন্য হবে।
* দ্বিতীয় Option -এ যাওয়ার আগে বলি ভরবেগের ফর্মুলাতে আমরা পাই , Kg-m/s তাহলে 20 গ্রামকে kg তে পরিণত করতে হবে –
20/1000 × 200
= 4kg m/s
* third Option -এ 400 কেজির হাতি-
হাতির ক্ষেত্রে m/s নিতে হবে
তাহলে কি হবে –
40×1000×400 /60×60
= 4444.45 kg-m/s
* তাহলে এর ভরবেগ বেশি হবে
* And 4th Option -এ ভরবেগ পরিমাপ সম্ভব নয় বলা আছে – এটা ভুল।
কারণ ভরবেগ পরিমাপ সম্ভব)।
7.বায়ু ভর্তি বেলুনকে চাপ দিলে সেটির আকার পরিবর্তিত হয়।এই ধরণের বলকে কি বলা হয়?
(A) ঘর্ষণ বল
(B) ভারসাম্য বল
(C) চাপ বল
(D) জাড্য বল
Ans-(B) ভারসাম্য বল (Balanced Force)।
(মনে রাখবে এই ধরনের বলকে বলা হয় ভারসাম্য বল (Balanced Force)।এই আকার পরিবর্তন হয় ,- কারণ আমরা যখন বল প্রয়োগ করছি তখন ওর আকার পরিবর্তনের ফলে Net Effect একই থাকে।মাথায় রাখবে যখন Net Effect এক থাকে তখন তাকে আমরা বলি ভারসাম্য বল।
* অর্থাৎ প্রেসার দিলে ওটা ফুলে যায় বা আকৃতির পরিবর্তন হয়।কারণ আমরা যে বলটা প্রয়োগ করছি তাকে ভারসাম্য রাখার জন্য।এককথায় বলতে গেলে বেলুনের Balance করার জন্য এই আকারের পরিবর্তন হয়)।
8.বায়ুর বাঁধা এবং ঘর্ষণ বল না থাকলে কোনো বস্তুর সমবেগে থাকার প্রবণতা হলো–
(A) পদার্থের জাড্য ধর্ম
(B) পদার্থের উপর অভিকর্ষের আকর্ষণ
(C) পদার্থের উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ
(D) পদার্থের বেগ
Ans-(A) পদার্থের জাড্য ধর্ম
(Actually এটাকে বলা হয় গতি জাড্য)।
9. টেবিলের উপর রাখা বইটি না নড়ালে বইটি সেই ভাবেই থাকে। নিউটনের কোন সূত্র দ্বারা এটিকে ব্যাখ্যা করা যায়?
(A) প্রথম গতিসূত্র দ্বারা
(B) দ্বিতীয় গতিসূত্র দ্বারা
(C) তৃতীয় গতিসূত্র দ্বারা
(D) উপরের সবকটিই দ্বারা
Ans-(A) প্রথম গতিসূত্র দ্বারা
(নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে বলা হয় “Galileo’s Law of Inertia”।অর্থাৎ গ্যালিলিওর জাড্য সূত্র)।
10. যে বল দ্বারা কোনো বস্তুর কেবলমাত্র আকার পরিবর্তন করা যায় – তাকে কি বলে?
(A) Balanced Force
(B) Unbalanced Force
(C) Negative Force
(D) Transverse Force