মুঘল সম্রাট আকবর সম্বন্ধীয় জিকে প্রশ্ন ও উত্তর

61.আবুল ফজল আল্লামী “আকবর নামা”র রচিয়তা।”আল্লামী”-শব্দের অর্থ কি?

(A) জ্ঞানী
(B) পন্ডিত
(C) চতুর
(D) দাসত্ব

Ans- (A) জ্ঞানী
(বেশি জ্ঞান থাকার জন্য)।

62.কোন রাজ্য বা অঞ্চলের প্রতি আকবর ‘গাজর’ ও ‘লাঠি’-নীতি অনুসরণ করেন?
(A) পাঞ্জাবি শিখদের প্রতি
(B) রাজপুতনার রাজপুতদের প্রতি
(C) বারোভুইঞাদের প্রতি
(D) মনসবদারদের প্রতি

Ans- (B) রাজপুতনার রাজপুতদের প্রতি

63.কোন বিদ্রোহ বা কাদের বিদ্রোহ দমনে বীরবল মারা যান?
(A) বুন্দেলার বিদ্রোহ দমনে
(B) রোশনিয়া সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ দমনে
(C) জাঠ বিদ্রোহ দমনে
(D) সৎনামী বিদ্রোহ দমনে

Ans- (B) রোশনিয়া সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ দমনে /ইউসুফজাই বিদ্রোহ (1586)।

64.বুলন্দ দরওয়াজা কিসের গেট?
(A) আলাই দরওয়াজার গেট
(B) ফতেপুর সিক্রির গেট
(C) পঞ্চমহলের গেট
(D) কুতুব মিনারের গেট

Ans- (B) ফতেপুর সিক্রির গেট
(এটি জামি মসজিদের প্রবেশদ্বার)।

65.’কানকুত’-রাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নাম কি?
(A) গোল্লাবক্স
(B) বাটাই
(C) নকস্
(D) জাবতি

Ans- (C) নকস্
(এই ব্যবস্থা চালু ছিল বাংলাদেশ-কাঁথিয়াবাড়- গুজরাটে।
* এই ব্যবস্থা চালু করেন আকবরের রাজস্বমন্ত্রী টোডরমল 1582 খ্রিস্টাব্দে)।

66.টোডরমলের ভূমি রাজস্ব আইন বিধি কি নামে পরিচিত?
(A) দোস্তর-ই-রাজস্ব
(B) দোস্তর-ই-আমল
(C) দহশালা
(D) টোডরমল ব্যবস্থা

Ans- (B) দোস্তর-ই-আমল
(জাহাঙ্গীররের ‘দ্বাদশ নির্দেশিকা’-কেও বলা হয় দোস্তর-ই-আমল)।

67.টোডরমল 1582 খ্রিস্টাব্দে নতুন রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।তিনি কোন ব্যবস্থার জন্য খ্যাতি লাভ করেন?
(A) গাল্লা বক্স
(B) নকস্ বা নাক্স
(C) জাবত বা জাবতি বা দহশালার জন্য
(D) উপরের কোনোটিই নয়

Ans- (C) জাবত বা জাবতি বা দহশালার জন্য
(টোডরমল 1582 খ্রিস্টাব্দে যে নতুন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন তা ছিল তিন প্রকার যথা-
(i) গাল্লা বক্স বা বাটাই প্রথা
(ii) নকস্ বা নাক্স বা কানকুত
(iii) যাবত বা জাবতি বা দহশালা)।

68.আবুল ফজল বাদে অন্য একজন “আকবরনামা”-লেখেন- তার নাম কি?
(A) নিজামুদ্দিন আহমেদ
(B) ফৈজি সিরহিন্দ
(C) সাদিক খাঁ
(D) ব্লাকম্যান

Ans- (B) ফৈজি সিরহিন্দ
(এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু ছিলো আকবর কতৃক আসিরগড় দুর্গ জয়।
* এটি ছিল আকবরের জীবনে শেষ অভিযান (1601)
* এই সময় আসিরগড়ের শাসক ছিলেন মিরণ বাহাদুর)।

69.যাবত বা জাবতি বা দহশালা ব্যবস্থা কোথায় চালু ছিল-
(A) এলাহাবাদ
(B) মালব
(C) অযোধ্যা
(D) উপরের সবগুলিই

Ans- (D) উপরের সবগুলিই
(যাবতি বা জাবতি ব্যবস্থা অনুসারে জমির উৎপাদিকা শক্তি উপর নির্ভর করে জমিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়-
(i) পোলাজ (যে জমিতে সারাবছর চাষ হয়)।
(ii) পরৌতি (যে জমি কিছুকাল চাষের পর উর্বরতার জন্য ফেলে রাখা হয়)।
(iii) চাচর (যে জমি 3 – 4 বছর পতিত রাখা হয়,
(iv) বানজার (কৃষি কাজের অনুপযুক্ত জমি)।
* প্রথম তিন প্রকার জমিকে উত্তম-মধ্যম ও অধম তিন ভাগে বিভক্ত করে গড়পড়তা অনুযায়ী 1/3 ভাগ রাজস্ব স্থির হয়। এই রাজস্ব নগদে বা ফসলের মাধ্যমে দেওয়া যেত)।

70.সিন্ধু-কাশ্মীর-কান্দাহার- কাবুলে কোন প্রথা প্রচলিত ছিল?
(A) বাটাই প্রথা
(B) জাবতি প্রথা
(C) দহশালা
(D) উপরের একটিও না
Ans- (A) বাটাই প্রথা
(বাটাই প্রথার ওপর নাম গাল্লাবক্স।
* বাটাই প্রথা অনুসারে উৎপন্ন ফসলের 1/3 ভাগ সরকারকে দিতে হত।
* জাবতি প্রথা চালু ছিল – বিহার-এলাহাবাদ-মালব- অযোধ্যা-দিল্লী-লাহোর- মুলতান-রাজপুতনা এই আটটি প্রদেশে।
* নকস্ বা কানকুত প্রথা চালু ছিল- কাঁথিয়াবার-বাংলাদেশ ও গুজরাটে)।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.