Ans-(B) 13 ই ডিসেম্বর, 1946
(1946 সালের 13 ই ডিসেম্বর জওহরলাল নেহেরু সংবিধানের “উদ্দেশ্য-সংক্রান্ত প্রস্তাব” (উদ্দেশ্য সমাধান) উত্থাপন করেন।1947 সালের 22 শে জানুয়ারি কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে (20 – 25 শে জানুয়ারি,1947) নেহেরুর এই খসড়া প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
* দ্বিতীয় অধিবেশনে-
(i) উদ্দেশ্য-সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।
(ii) ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়।
(iii) এই অধিবেশনে গণপরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে হরেন্দ্রোনাথ মুখোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করা হয়)।
42. ভারতবর্ষের সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ মোট কতগুলি কমিটি গঠন করেছিল?
(A) 22 টি
(B) 16 টি
(C) 13 টি
(D) 4 টি
Ans-(A) 26 নভেম্বর, 1949
(1949 সালের 17 ই নভেম্বর শুরু হয় তৃতীয় আলোচনা।সুদীর্ঘ আলাপ-আলোচনা ও বিতর্কের পর 1949 সালের 26 শে নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান গৃহীত হয় এবং 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকরী হয়)।
44. সংবিধান প্রণয়নের ধারণাটি সর্বপ্রথম ব্যক্ত করেন কে?
(A) ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ
(B) ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা
(C) মহাত্মা গান্ধী
(D) স্যার জন প্যাথিক লরেন্স
Ans-(C) মহাত্মা গান্ধী
(1939 সালের 19 শে নভেম্বর গান্ধীজি তাঁর “হরিজন”-পত্রিকায় গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সুস্পষ্ট অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন।1940 সালের 7 ই আগস্ট ব্রিটিশ সরকার প্রথম সরকারিভাবে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠনের বিষয়টি স্বীকার করে
* 1946 সালের মার্চ মাসে গণপরিষদ গঠনের উদ্দেশ্যে ভারতে ক্যাবিনেট মিশন প্রেরণ করে)।
46. গণপরিষদের প্রবীণতম সদস্য কে ছিলেন?
(A) হরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
(B) ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা
(C) মহাত্মা গান্ধী
(D) জওহরলাল নেহেরু
Ans-(B) ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা
47. গণপরিষদের প্রথম নির্বাচনে মুসলিম লীগের সদস্য কত জন ছিল?
(A) 78 জন
(B) 76 জন
(C) 73 জন
(D) 82 জন
Ans-(C) 73 জন
(মুসলিম লীগের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল 78 জন কিন্তু 1946 সালের 26 শে অক্টোবর মুসলিম লীগের 5 জন সদস্য অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেন এরা হলেন- লিয়াকৎ আলি খাঁ, আই. আই. চুন্দ্রিগড়, আব্দুর রব নিস্তার, গজনফর আলি এবং যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল।ফলে মুসলিম লীগের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় 78 – 5 = 73 জন)।
Ans-(A) রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জেনিংস
(গ্রেনভিল অস্টিন গণপরিষদ সম্পর্কে বলেন- গণপরিষদের প্রধান কাজ ছিল এমন একটি খসড়া সংবিধান রচনা করা, যা সামাজিক বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্যটি পূরণ করবে।
* পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেন গণপরিষদের প্রধান কাজ হবে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করা।ভারতের ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দেওয়া, বস্ত্রহীন ভারতবাসীর পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং প্রতিটি ভারতবাসীকে তার নৈপুণ্য অনুযায়ী আত্মবিকাশের জন্য সর্বাধিক সুযোগ প্রদান করা।
* ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেন দুঃখ দারিদ্র্যের অবসান ঘটানো,বৈষম্য ও শোষণের বিলোপ সাধন এবং সুন্দর জীবনযাত্রার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করাই হবে গণপরিষদের মূল লক্ষ্য)।