” বন্যেরা বনে সুন্দর
শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে ।।
বর্তমানে এই মহান উক্তিটির কোন মূল্যই যেন আর নেই। মানুষ এখন এতটাই নৃশঃস হয়ে উঠেছে যে নিজের মেয়েকে পর্যন্ত যৌন নিযাতন করতে ছাড়ছে না। এমনই এক জঘণ্য ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের হলদিয়া নামক স্থানে।
উল্লেখ্য গত রবিবার হলদিয়া থানায় প্রশাসনের উদ্যেগে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয় এই শিবিরে যোগ দেয় ঐ এলাকার দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী। উক্ত শিবিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচী দেখে এই নাবালিকা মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে, এবং পুলিশ সুপারকে বলেন যে, আমার সৎ বাবা আমাকে জোর করে যৌন নির্যাতন করে। এবং কাউকে বললে কেউ বিশ্বাস করে না। এ বিষয়ে আমি থানায় একবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। খবরে প্রকাশ কয়েক বছর আগে ঐ মেয়েটির বাবা মারা যায় এর পর ঐ মেয়েটির মা ওই লোকটির সাথে বিয়ে করেন সেই সুত্রে ওই লোকটি মেয়েটির সৎ বাবা।
এই ঘটনার পর পুলিশ ওই লোকটিকে গ্রেফতার করেন এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। মেয়েটির মা অবশ্য এই যৌননির্যাতনের কথা স্বীকার করেননি বরং বলেন এই কথা গুলি মেয়ের সাজানো ও মিথ্যা কথা। এর পর মেয়েটি আচমকা দাঁড়িয়ে উঠে বলেন তাহলে স্যার আপনি আমার DNA TEST ও ফিজিক্যাল টেস্ট
করুন তাহলে সব বুঝতে পারবেন। পুলিশ সুপার অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন এই ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আমি নিজে হাতে করব এবং এর সত্যতা প্রমানিত হলে দোষি দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি পাবে। তবে এক্ষেত্রে পুলিশ সুপারের প্রশংসা করতেই হয় কারন পুলিশ সুপার মানবিকতার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে নিজের হেফাজতে রেখেদিয়েছেন।
দিন দিন যেভাবে সমাজে নারী নির্যাতন ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে তাতে নারী জাতিকে সাহসের সাথে পুলিশে অভিযোগ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে পুলিশকেও অবশ্যই তাদের দ্বায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে তবেই সমাজের এই নোংরামি সমূলে উপড়ে ফেলা সম্ভব হবে অন্যথায় নয়I
নিয়মিত খবর পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ I